Saturday, April 27, 2024
জাতীয়শিক্ষাসারাদেশ

অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনো সম্পূর্ণ বই না পাওযায় হতাশ

প্রতি বছরের ন্যায় বছরের প্রথম দিনেই সারাদেশে শুরু হয় বই উৎসব। এমন তা অবস্থান জানুয়ারির শুরু থেকে শেষ অবধি। বই বিতরণ করা হলেও এখুনো অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনো সম্পূর্ণ বই নাই।

এদিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) দাবি, সব উপজেলায় পৌঁছে গেছে সব বই।

এনসিটিবি জানায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ শিক্ষার্থীর জন্য ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ কপি বই ছাপার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির বই ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৭১ কপি এবং নবম শ্রেণির বই ৫ কোটি ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৩ কপি।

আবার এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর (পাঁচটি ভাষায় রচিত) বই, ব্রেইল বই এবং শিক্ষকদের জন্য শিক্ষক সহায়িকা ছাপানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে চলতি শিক্ষাবর্ষের বই ছাপানোর কাজ আগেভাগেই শুরু করে এনসিটিবি। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমের অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত না হওয়ায় ছাপার কাজ শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়।

এই পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত হতে আর ছাপাখানায় কাজ শুরু করতে বেশ দেরি হয়ে যায়। এতে করে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার প্রথম বছরে বই নিয়ে নানা বিতর্ক হয়। বিতর্ক এড়াতে এবার বইয়ের পাণ্ডুলিপি চূড়ান্ত করতে সতর্ক ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এনসিটিবি জানিয়েছিল, যে জানুয়ারির মাঝামাঝি সব বই উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। কিন্তু এখন অবধি অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখনো সম্পূর্ণ বই নাই। কিছু স্কুলে অষ্টম ও নবম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর জন্য বই এসেছে। তবে বইয়ের সেটে সব বই নেই। এতে করে দিন দিন শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে।

ফটো: অনলাইন

এই ‍দিকে বই না পাওয়ায় অনেক পড়া এখনো শুরু করতে পারিনি শিক্ষার্থীরা। অনেক স্কুলে এ পর্যন্ত ৯টি বই পেয়েছে। তবে এখনো দুটি করে পায় নাই। আবার স্কুলে বই চাইলে তারা বলছে, এখনো আসেনি এমন তা অবস্থায় শিক্ষার্থীরা ভরসা পাচ্ছে না তারা আসলে কখন বই পাবে।

অনেক স্কুলের শিক্ষকদের কে বিষয়টি কথা বলে তারা বলে, নবম শ্রেণির কিছু বই এখনো বাকি রয়ে গেছে। আশা করছি, দ্রুত চলে আসবে। অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহে সবগুলো বই পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান।

এনসিটিবি বলছে, কয়েকটি প্রেসে স্কুল ও মাদ্রাসা মাধ্যমিকের বই এখনো আটকে রয়েছে। এর মধ্যে একটি অনুপম প্রিন্টার্স। তবে তারা বলছে ১০ দিন আগেই সব বই চলে গিয়েছে। এনসিটিবি চাইলে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারে।

অলনিউজবিডি২৪ এর খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।

এনসিটিবির এক কর্মকর্তা বলেন, চাহিদা অনুযায়ী সব বই দেওয়া হয়েছে। কোথাও চাহিদা থাকলে আমাদের কাছে চাইলে বাফার স্টক থেকে হোক বা ছাপিয়ে বই দেওয়া হবে। কিন্তু চাহিদার কথা এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের জানায়নি। হয়তো উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে বই রয়ে গেছে অথবা স্কুল থেকে নেয়া হচ্ছে না।

জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, দু-একটি বাদে বাকি সব ছাপাখানার বই উপজেলা পর্যায়ে চলে গেছে। স্কুল পর্যায়েও বিতরণ করা হয়েছে। ঐ ছাপাখানাগুলো এখনো সব বই দিতে পারেনি। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে প্রশ্ন থেকেই যায় শিক্ষার্থীদের বই না পাওয়ার গল্পে।

Share
Share
Share
Share
Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *