প্রকাশিত: ০৮:১৬ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শামীমের ঝড়ো ব্যাটিং, বরিশালকে মাঝাড়ি রানের টার্গেট দিল চিটাগং
মঞ্চ প্রস্তুত ছিল ফাইনালের পথে এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ের জন্য। বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি চিটাগং কিংস। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসের ভাগ্য বরিশালের পক্ষে থাকায় তামিম ইকবাল সিদ্ধান্ত নেন আগে বল করার। তারপর? তারপর শুরু হলো নাটকীয়তার এক অধ্যায়—চিটাগংয়ের ব্যাটিং ধস, শামীমের প্রতিরোধ, আর মোহাম্মদ আলীর বিধ্বংসী স্পেল।
শুরুর ধাক্কা: মেয়ার্সের তোপে এলোমেলো চিটাগং
প্রথম বলেই চার! খাওয়াজা নাফে হয়তো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রানের ঝড় তুলবেন। কিন্তু তার সেই পরিকল্পনা এক মুহূর্তেই ভেস্তে দেন কাইল মেয়ার্স। দ্বিতীয় বলেই স্টাম্প উড়িয়ে দিয়ে চিটাগং শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তিনি।
এই ধাক্কা সামলানোর আগেই আরেকটি বড় ধস নামে চিটাগংয়ের টপ অর্ডারে। মেয়ার্সের শিকার হন গ্রাহাম ক্লার্কও। এরপর মোহাম্মদ আলীর আগুনে বোলিংয়ে আরও চাপে পড়ে চিটাগং। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটেও রান আসেনি, পুল করতে গিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ইবাদত হোসেন ফিরিয়ে দেন হায়দার আলীকে। ফলাফল? মাত্র ২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে একেবারে কোণঠাসা চিটাগং।
শামীমের একার লড়াই: আঁধারে আলোর ঝলকানি
টপ অর্ডারের পতনের পর যখন চিটাগংয়ের ইনিংস ধুঁকছিল, তখন একাই দলের হাল ধরেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। একপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও তিনি ছিলেন অন্য মেজাজে। ব্যাট চালিয়ে দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলতে থাকেন এই তরুণ ব্যাটার।
প্রথমে ইমনকে সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে জুটি গড়ে তোলেন। দুজন মিলে দলীয় শতরান পূর্ণ করেন ১৩ ওভারের মধ্যেই। তবে ৩৬ রান করে ইমন বিদায় নিলে চাপ আরও বাড়ে চিটাগংয়ের ওপর।
কিন্তু শামীম ছিলেন অনড়। ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
মোহাম্মদ আলীর আগুনঝরা স্পেল: শেষ বাঁধার দেওয়াল
যখন মনে হচ্ছিল শামীমের ব্যাটে চিটাগং সম্মানজনক সংগ্রহ পেয়ে যাবে, তখনই আবির্ভাব ঘটে মোহাম্মদ আলীর। ১৯তম ওভারে বল হাতে নিয়ে একে একে ফেরান শামীম, খালেদ আহমেদ, আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলামকে। টানা দুই বলে দুটি উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি।
শেষ পর্যন্ত চিটাগং ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৪৯ রান। একাই ৫ উইকেট নিয়ে চিটাগং ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন আলী। মেয়ার্স পান ২ উইকেট, বাকিদের জন্য ছিল শুধুই দর্শকের ভূমিকা।
বরিশালের একাদশ ও ম্যাচের পরবর্তী ধাপ
এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বরিশাল তিনটি পরিবর্তন নিয়ে নামে। একাদশে ফিরেছেন কাইল মেয়ার্স, মোহাম্মদ আলী ও তানভির ইসলাম। অন্যদিকে, চিটাগং অপরিবর্তিত দল নিয়েই নামে।
বরিশালের একাদশ: তামিম ইকবাল, রিশাদ হোসেন, ডেভিড মালান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইবাদত হোসেন, কাইল মেয়ার্স, মোহাম্মদ নবি, তানভির ইসলাম, মোহাম্মদ আলী।
এখন প্রশ্ন—চিটাগংয়ের ১৪৯ রান কি বরিশালের জন্য যথেষ্ট বাধা হয়ে দাঁড়াবে, নাকি তামিমের নেতৃত্বে সহজেই ফাইনালের টিকিট কেটে ফেলবে বরিশাল? মাঠে নামলেই মিলবে উত্তর!
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জাকারিয়া ইসলাম
ঠিকানা: ৫২/৬, র্যামস উইনিটি, পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৭২২-৫৬৮০০৮
© ২০২৫ | অল নিউজ বিডি ২৪ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ডিজাইন | অল নিউজ বিডি ২৪