প্রকাশিত: ০৪:২০ ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

জানা গেল গতরাতে কি ঘটেছিল, প্রশংসায় ভাসছে হাসনাত আব্দুল্লাহ
রবিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে এগিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে সাহসিকতার পরিচয় দেন ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। নিজের নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়েও সংঘর্ষ থামানোর জন্য তার প্রচেষ্টা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
ঘটনা কী হয়েছিল?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘর্ষের স্থানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, “একজনও আর এগিয়ে যাবেন না।”
তবে তার চেষ্টার মাঝেও উত্তেজনা কমছিল না। শিক্ষার্থীরা তাকে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে থাকে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাসনাত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা করছেন।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘর্ষস্থলে দ্রুত হেঁটে যাচ্ছেন হাসনাত। তার চারপাশে শিক্ষার্থীরা তাকে রক্ষা করার জন্য তার হাত ধরে রেখেছে। টিয়ারগ্যাসে ভরা সেই উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশে তিনি চোখ খুলতে কষ্ট পাচ্ছিলেন।
হাসনাতের নীরবতা
সোমবার সকালে হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া, তিনি এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও কোনো মন্তব্য করেননি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
হাসনাতের সাহসিকতা দ্রুত নেটিজেনদের নজরে আসে এবং তারা তাকে প্রশংসায় ভাসাতে থাকেন।
জেন জি নামে একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা হয়:
“এই তরুণ জানতেন, এমন একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবুও তিনি সেখানে গেছেন। তিনি চাইলে এড়িয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু তার এই সাহসিকতাই প্রমাণ করে, তিনি মৃত্যুকে ভয় পান না। তার জন্য করতালির যোগ্য।”
আরেকটি পোস্টে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়:
“যেখানে রাজনৈতিক নেতারা কখনোই এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে আসেন না, সেখানে হাসনাত তার জীবন ঝুঁকিতে ফেলে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেছেন। এমন নেতৃত্বই আমাদের প্রয়োজন।”
নেতৃত্বের সমালোচনা
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারী বিলাল হোসেন সাগর লেখেন:
“ছাত্র সংগঠনগুলো এখন টেন্ডার রাজনীতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংঘর্ষের সময় তাদের নেতারা কোথায় ছিল? তারা যদি এগিয়ে আসত, তাহলে পুলিশ ছাড়াই সমস্যার সমাধান হতে পারত। কেবল হাসনাত আব্দুল্লাহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেছেন।”
হাসনাত আব্দুল্লাহর সাহসিকতা দায়িত্বশীল নেতৃত্বের একটি বিরল উদাহরণ হয়ে থাকবে। যেখানে ক্ষমতাসীনরা এ ধরনের ঘটনার সময় অনুপস্থিত থাকেন, সেখানে হাসনাতের ঝুঁকি নেওয়ার এই প্রচেষ্টা তাকে সম্মান এবং প্রশংসায় ভূষিত করেছে। তার এই উদ্যোগ কেবল নেতৃত্বের গুরুত্বই প্রকাশ করে না, বরং সংকটের সময়ে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জাকারিয়া ইসলাম
ঠিকানা: ৫২/৬, র্যামস উইনিটি, পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৭২২-৫৬৮০০৮
© ২০২৫ | অল নিউজ বিডি ২৪ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ডিজাইন | অল নিউজ বিডি ২৪