প্রকাশিত: ১১:১৮ ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা
মধ্যরাতে (১টা ২৬ মিনিটে) একটি ভূমিকম্পে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল কেঁপে ওঠে, যা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। অনেকেই তখন গভীর ঘুমে ছিলেন, কিন্তু শক্তিশালী কম্পনের ফলে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। ভূমিকম্পটি স্বল্পস্থায়ী হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও উদ্বেগ দেখা যায়।
উৎপত্তিস্থল ও মাত্রা
ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের খামতি এলাকায়। এটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার গভীরে সৃষ্টি হয় এবং রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.১।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ভারতের মণিপুর রাজ্যের ওয়াংজিং এলাকা থেকে ১০৬ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর প্রভাব অনুভূত হয় মিয়ানমার, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়।
বাংলাদেশে প্রভাব
বাংলাদেশে ভূমিকম্পটি দুই ধাপে অনুভূত হয়। প্রথম ধাপে প্রায় ২ থেকে ৩ সেকেন্ড শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়, তারপর এক মুহূর্তের বিরতি নিয়ে দ্বিতীয় ধাপে অপেক্ষাকৃত হালকা কম্পন হয়। রাজধানী ঢাকা সহ অন্যান্য বড় শহরের বাসিন্দারা এটিকে তুলনামূলকভাবে তীব্র ভূমিকম্প হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল থেকে ৩৫০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। এমনকি এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি উৎপত্তিস্থল থেকে প্রায় ৩,৮০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ভূমিকম্প অনুভব করেছেন।
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
ভূমিকম্পের পর সামাজিক মাধ্যমে মানুষের অভিজ্ঞতা ও উদ্বেগ প্রকাশ পেতে শুরু করে। ফেসবুকে সাদিয়া তাসনিম নামে একজন লেখেন, “মাত্রা কত ছিল! মনে হচ্ছিল, আমাকে বিছানা থেকে ফেলে দেবে! #Earthquake।”
রাতের আতঙ্ক
ভূমিকম্পটি গভীর রাতে হওয়ায় আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। অনেক মানুষ বাড়ি ছেড়ে খোলা স্থানে আশ্রয় নেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। তাই এই ধরনের ঘটনার জন্য যথাযথ প্রস্তুতির প্রয়োজন।
উৎপত্তিস্থলে অবস্থা
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে উৎপত্তিস্থলের আশেপাশের এলাকায় কম্পন অপেক্ষাকৃত কম তীব্র ছিল। তবে এর ব্যাপ্তি ছিল বিশাল, যা একাধিক দেশে প্রভাব ফেলেছে।
মধ্যরাতের এই ভূমিকম্প আবারও স্মরণ করিয়ে দিল যে, ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে যথাযথ প্রস্তুতি থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কর্তৃপক্ষ এবং নগর পরিকল্পনাকারীদের উচিত দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং জনগণকে এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রশিক্ষিত করা।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জাকারিয়া ইসলাম
ঠিকানা: ৫২/৬, র্যামস উইনিটি, পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৭২২-৫৬৮০০৮
© ২০২৫ | অল নিউজ বিডি ২৪ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ডিজাইন | অল নিউজ বিডি ২৪